Saturday, March 18, 2017

কেমোডেকটোমা / নিউরোজেনিক টিউমার

খুব উচূ স্থানে বা পাহাড়ে বসবাস করে এমন লোকজনেরই সাধারনত এই টিউমারটি হতে দেখা যায়। ৪০ বছরের আগে এই টিউমার হবার সম্ভাবনাও খুব কম। গলার মাঝামাঝি, যে কোন এক পাশে এই টিউমারটি হতে দেখা যায়। এটা নিরীহ শ্রেনীর একটি টিউমার আর তাই অনেকদিন ধরে খুব অল্প অল্প করে এটা বড় হতে থাকে। বড় হলে এটা জলপাই এর মতো হয় এবং ধরলে রবারের মতো হাল্কা শক্ত মনে হয় এবং নাড়ির স্পন্দন এর সাথে সে লাফাতে থাকে।
একে অনেক সময় চেপে ধরে রাখলে এটা ছোটো হয়ে যায়। এর আরেক নাম ক্যারোটিড বডি টিউমার। অন্য সব টিউমারের মতো কেমোডেকটোমার বায়োপসি বা এফ,এন,এ,সি করা যায়না। ক্যারোটিড এনজিওগ্রাম বা এম,আর,আই করে এর উপস্থিতি নিশ্চিত করতে হয়। কেমোডেকটোমার একমাত্র চিকিৎসা হলো সার্জারি। রোগীর বয়স বেশী হলে অবশ্য সার্জারি না করানই ভালো। এর অপারেশন বেশ ঝুকিপূর্ণ, তাই অভিজ্ঞ ভাসকুলার সার্জন দ্বারা এর অপারেশন করানো উচিত।

0 comments:

Post a Comment